মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-১
অষ্টম শ্রেণি
বাংলা
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১. ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ – কবির মতে ‘সবার চেয়ে শ্রেয়’ কী?
উঃ জীবনে দুঃখের সাগর পেরিয়েই সুখের কিনারায় উঠতে হয়। একাজে যে বিপদ আছে, তা মাথায় রেখেই বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হয়। নতুবা মুহূর্তের ভুলে সব কিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার বা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই সতর্ক হয়ে চলতে হবে, অন্যের সঙ্গে বিবাদ করে, সবার সাথে মিলে মিশে দুঃখ-সাগরে ভেসে থাকতে হবে। তাকে অবলম্বন করে টিকে থাকতে হবে। আর সেটিই হবে উপযুক্ত, সংগত ও শ্রেয়।
২. ‘তদবিষয়ে যথােপযুক্ত আনুকুল্য করিব।” – বক্তা কোন্ বিষয়ে আনুকূল্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন?
উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা 'অদ্ভুত আতিথেয়তা' গল্পে মুরসেনাপতি দিকভ্রম হয়ে ভুলবশত আরবশিবিরে ঢুকে পড়লেন এবং ক্লান্ত হওয়ায় আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। দুজনের কথোপকথনের মাঝে আরবসেনাপতি উঠে চলে গেলেন এবং বলে পাঠালেন যে আহার ও শয্যা প্রস্তুত আছে। শীঘ্র শয়ন করতে এবং অনেক সকালে উঠে চলে যেতে বলা হল। মুরসেনাপতির ঘোড়া ক্লান্ত হওয়ায় তার জন্য আরবসেনাপতি একটি তেজস্বী ঘোড়া ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন।
৩ ‘এই রইল তােদের পিকনিক – আমি চললাম।' — বক্তা কে? কেন তিনি পিকনিকে থাকতে চাননি?
উঃ উপরোক্ত অংশের বক্তা হলেন টেনিদা।
➡তিনি পিকনিকে থাকতে চাননি কারণ হাবুলের পােলাও, ডিমের ডালনা, মাছ-মাংসের কোর্মা প্রভৃতির কথা বলার মাঝখানে প্যালা আলু ভাজা, শুক্তো, বাটি-চচ্চড়ি, কুমড়াের ছক্কার মতাে দেশি খাদ্যের কথা বলায় টেনিদা তাদের উল্লুক প্রভৃতি বলে গালিগালাজ করে।
৪. ‘'পরবাসী কবে নিজবাসভুমি গড়বে?'’ – কবির মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন?
উঃ নাগরিক শহুরে জীবনে অভ্যস্ত ব্যবসায়ী মানুষ গ্রাম-বন-জঙ্গল সাফ করে যে-নগর গড়ে তােলে, সেখানে আদি মানুষগুলি স্থান পায় না। তারা আবার নতুন গ্রাম গড়ে তােলে। লােভীরা আবার সেখানে থাবা বসায়। এভাবে মানুষগুলি চিরকাল নিজদেশে পরবাসী হয়েই থেকে যায়। কবি দেশের এই বনভূমি, বন্যপ্রাণী ও গ্রাম্য পরিবেশ ধ্বংস করা ও তার পরিবর্তে নগর সভ্যতা গড়ে তােলার কারণে সাধারণ মানুষের বারবার গৃহহীন হওয়ার কবির মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে।
৫. ''এইভাবে আমরা দেহরা-দুন এক্সপ্রেসের সেই থার্ড ক্লাস গাড়িখানিতে যেন এক পশতু সাহিত্য-গগাষ্ঠী বা সম্মেলন লাগিয়ে দিলুম।'' — লেখকের বক্তব্য অনুসরণে সেই পরিস্থিতির বিবরণ দাও।
উঃ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশে লেখক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় দেহরাদুন এক্সপ্রেসে গয়া থেকে কলকাতা ফেরার কাহিনি বর্ণনা করেছেন। আসলে অনেক সময় চলতি পথে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ আলােচনার মাধ্যমে অকৃত্রিম আন্তরিকতা যেমন ফুটে ওঠে, তেমনই মনের রসদ, সাহিত্যের রসের স্বাদ মেলে। তেমনই গল্পে দেখা গিয়েছে, দেহরাদুন এক্সপ্রেসের পশতু-সাহিত্য-গােষ্ঠী বা সম্মেলন শুরু হয় খুশ-হাল খাঁ খট্টকের গজল বিষয়ে প্রশ্নের মাধ্যমে। ঔরঙ্গজেবের সমকালীন এই কবি পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। লেখকের আগ্রহে জনৈক যাত্রী গজল শােনালেন। এরপর হল, আদম খান আর দুরখানির মহব্বতের কিসার কথা। আর শুধু লেখককেই বা কেন—গাড়ির সমস্ত যাত্রীরা অবধারিতভাবে মন দিয়ে সেই কাহিনি শুনল। পাঠানের গলা যদিও কর্কশ, তবে সে গুরুগম্ভীরভাবে কাহিনিটি কিছুটা গান করে আবার কিছুটা পাঠ করে সবাইকে মােহিত করে রাখল। এভাবে সেই তৃতীয় শ্রেণির গাড়িতে গানে, আবৃত্তিতে ও পাঠে যেন এক পশতু-সাহিত্য-গােষ্ঠী বা সম্মেলন হল।
৬. 'এ সব আমার-ইহবে; আমাকেই দেবেন বিধাতা’ – ভাবনাটি কার ? বিধাতা তাকে কী কী দেবেন বলে সে মনে করে?
উঃ তারাপদ রায় রচিত 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় ভাবনাটি হল একটি চড়ুই পাখির।
➡ সে ভাবে ঘরে থাকা এই মানুষটি অর্থাৎ, কথক চলে গেলে এই ঘর তার হয়ে যাবে। ঘরের জানালা, দরজা, টেবিল, ফুলদানি, বইখাতা সবই তার নিজের হবে। বিধাতা তাকে হয়তাে সবকিছুই দিয়ে দেবেন।
৭. দল বিশ্লেষণ করে মুক্তদল ও রুদ্ধদল চিহ্নিত করাে ‘সম্ভাষণ।
উঃ সম্ভাষণ = সম্-ভা - ষণ [ মুক্তদল - ভা ( একটি); রুদ্ধদল -সম্ , ষণ (দুটি )]
৮. ‘উঠন্তি মুলাে পত্তনে চেনা যায়’ প্রবাদটিকে ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করাে।
উঃ (অর্থ : ভবিষ্যতের আভাস শুরুতেই মেলে) বাক্য রচনা : এই অসুস্থ মুরগিটি বেশিদিন বাচঁবেনা, উঠন্তি মূলো পত্তনে চেনা যায়।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-২
অষ্টম শ্রেণি
বাংলা
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে :
১.১ সেলুকাস ছিলেন — গ্রিক সেনাপতি/গ্রিক সম্রাট/মুর সেনাপতি/আরব সেনাপতি।
উঃ গ্রিক সেনাপতি
১.২ তােতাইয়ের চাই একটি — সবুজ টিয়া/সবুজ চারাগাছ/সবুজ জামা/চশমা।
উঃ সবুজ জামা
১.৩ ‘বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী’—পঙক্তিটির রচিযিতা — মাইকেল মধুসূদন দত্ত/ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর/ভারতচন্দ্র রায়/গৌরদাস বসাক
উঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১.৪ ‘আলেম’ শব্দের অর্থ—প্রবর্তক/সর্বজ্ঞ/অভিযাত্রী/সহযাত্রী।
উঃ সর্বজ্ঞ
১.৫ ‘মুরসেনাপতি’ শব্দে দলসংখ্যা-দুই/তিন/পাঁচ/ছয়।
উঃ ছয়
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
২.১ ‘সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি’-কবির মতে সুখলাভের উপায়টি কী?
উঃ ব্যক্তিমাত্রই আত্মপরায়ণ। সে বিনা স্বার্থে এক পা ফেলতেও রাজি নয়। আবার এই ব্যক্তিই যখন পরার্থে সব কিছু বিসর্জন দিয়ে আত্মসুখ খুঁজে নেয়, হয়ে ওঠে পরম বন্ধু, তখন সে-ই খুঁজে পায় অনেক মন্দের মাঝে ভালাের খোঁজ। মন ভরে ওঠে তৃপ্তিতে। তবে এর জন্য পারস্পরিক ত্যাগ স্বীকার দরকার হয়। প্রত্যেকেই যদি নিজের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করে এগিয়ে আসে, তবে পাওয়া যায় পরম শান্তি। অর্থাৎ স্বার্থকে দূরে ঠেলে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেই জীবনে খুঁজে পাওয়া যায় অনেকটা সুখ ।
২.২ ..বন্ধুভাবেউভয় সেনাপতির কথােপকথন হইতে লাগিল’ —এই কথােপকথন গল্পের ঘটনাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে?
উঃ আরবসেনাপতি ও মুরসেনাপতির পারস্পরিক কথােপকথনের মধ্যে দিয়ে উভয় সেনাপতির
পূর্বপুরুষদের সাহস, পরাক্রম, যুদ্ধকৌশলের নানা পরিচয় উঠে আসে কথােপকথনেই
আরব সেনাপতি জানতে পারেন, মুরসেনাপতিই আর পিতৃহন্তা, কিন্তু তুবও তিনি
বুকের যন্ত্রণা বুকে চেপেই স্বজাতির ধর্ম অনুযায়ী তাঁর আতিথেয়তার
ব্যবস্থা করেন। যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথেয়তাবােধে
পৃথিবীর অন্যসব জাতির অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। তাঁরা মনের ক্রুদ্ধভাব কখনও অতিথির
কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁদের শত্রুতার মধ্যেও একটি পরম মিত্রতার ভাব ফুটে
ওঠে। আর লেখকও আমাদেরকে সেই ভাবনায় উদ্দীপ্ত হতে সচেষ্ট করেছেন।
২.৩ মহাভারতের কোন চরিত্রটি, কেন অপুর সবচেয়ে ভালাে লাগে?
উঃ মহাভারতের 'কর্ণ' চরিত্রটি অপুর সবচেয়ে ভালো লাগে কারণ তাঁর প্রতি মমতা জাগে। মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে কর্ণের রথের একটা চাকা মাটিতে পুঁতে গেছে এবং একহাতে সেই চাকা প্রাণপণে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাঁর নিরস্ত্র, অসহায়,দুরাবস্থার মিনতি উপেক্ষা করে অর্জুন তাঁকে হত্যা করে।
২.৪ টিনের বাক্সে অপু কী কী রেখেছিল? এর মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে ওঠে?
উঃ টিনের বাক্সে অপু রেখেছিল একটা রং-ওঠা ঘোড়া,চার-পয়সা দামের একটা টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু-বাঁশি, গোটাকতক কুড়ি,একটা দু-পয়সা দামের পিস্তল, কতগুলি শুকনো নেতা-ফল এবং কিছু খাপড়ার কুচি।
অপুর এই সম্পত্তি গুছিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে তার শৈশব চরিত্রটি ফুটে ওঠে এবং এর মধ্য দিয়ে সম্পত্তি সযত্নে সংরক্ষণ করার মানুষিকতা ফুটে উঠেছে।
0 Comments